শামীম আহমেদ (মনা) বাংলাদেশ জনপ্রিয় কনটেন্ট কিউটর।
শামীম আহমেদ একজন বিশিষ্ট কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং অভিনেতা, যিনি চট্টগ্রাম নাট্যকলা দলের সদস্য। তিনি "বদ বচন" এবং "মনাক" নামে পরিচিত। ২০২০ সালের জুলাইয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ইউটিউবে নোয়াখালী আঞ্চলিক ভাষায় বিভিন্ন সামাজিক অসংগতি এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি শুরু করেন। তার ভিডিওগুলির মধ্যে মজার ছলে এবং ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে সামাজিক বার্তা তুলে ধরা হয়, যা দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
শামীম ইউটিউবের সিলভার বাটন অর্জন করেছেন এবং ফেসবুকে তার ভিডিওগুলি ব্যাপকভাবে দেখা হয়। তার কনটেন্টগুলি থেকে ছোট প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি হয়েছে যেখানে তিনি অভিনয় করেন। গত দুই বছরে তিনি ২০-এরও বেশি নাটকে কাজ করেছেন। তার মধ্যে "কুত গান", "কাটুসটুস কোরবানি", "নোয়াখাইল্লাহ পোলা", এবং "ববদনাম" উল্লেখযোগ্য নাটক।
শামীমের জন্মস্থান খাগড়া এবং তিনি ছোটবেলা থেকে সেখানে বড় হয়েছেন। ছোটবেলা থেকে র্যাগিং ভাষার প্রতি তার আগ্রহ ছিল এবং তিনি অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা শিখেছেন। তিনি প্রায় ১০টি আঞ্চলিক ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন।
শামীম ২০১১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে কবি নজরুল কাউন্সিলে ভর্তি হন এবং পরের বছর নাটকলা গ্রুপে ভর্তি হন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হন। শামীম মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি বিশাল জায়গা যেখানে সবার কথা বলার অধিকার আছে এবং তিনি তার আবেগ, অনুভূতি, পরামর্শ এবং অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারেন।
তিনি মনে করেন, তার বক্তব্য এবং ভিডিওগুলি জনসাধারণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং তারা তাকে একটি সামাজিক প্রভাবক হিসাবে দেখেন। শামীম বলেন, "আমি মনে করি, জনসাধারন বা ব্যক্তিসমাজ আমাকে আমার স্বকীয়তা বা সামাজিক প্রভাবক হিসাবে দেখায়। আমি মনে করি, তারা আমার কাছ থেকে কখনই আশা করছে না। আমি ভিন্ন উপায় খুঁজে নিয়েছি।"
শামীম আহমেদ তার কাজের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন অসংগতি ও সমস্যাগুলি তুলে ধরতে চেষ্টা করছেন এবং তার কনটেন্টগুলি মানুষের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার ভিডিওগুলির মাধ্যমে তিনি নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছেন এবং সেইসাথে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেছেন।
শামীমের জনপ্রিয়তা শুধু অনলাইনেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেন এবং তার অভিনয় দক্ষতার জন্য প্রশংসিত হন। তার নাটক এবং ভিডিওগুলি বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার প্রতি দৃষ্টিপাত করে এবং সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
তার কনটেন্টগুলি মানুষের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি করে এবং সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখে। শামীমের ভিডিওগুলি শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং সমাজের সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তার ব্যঙ্গাত্মক এবং মজার ভঙ্গিতে তৈরি ভিডিওগুলি মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে এবং সমাজের বিভিন্ন অসংগতি নিয়ে আলোচনা করে।
শামীম আহমেদের কাজের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কেবলমাত্র বিনোদনের জন্য নয়, বরং সমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। তার কনটেন্টগুলি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে এবং তাকে একজন প্রভাবশালী কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
শামীম আহমেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আরও নতুন নতুন কনটেন্ট তৈরি করা এবং সমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। তিনি তার কাজের মাধ্যমে সমাজের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে চান এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চান।